বাংলাদেশের সেরা কয়েকটি দর্শনীয় স্থান বা পর্যটন কেন্দ্র
GoArif
ফন্ট রিসাইজার
অ
হোমপেজ > ভ্রমণ টিপস > বাংলাদেশের সেরা ৫০ টি দর্শনীয় স্থান বা পর্যটন কেন্দ্র
ভ্রমণ টিপস
বাংলাদেশের সেরা ৫০ টি দর্শনীয় স্থান বা পর্যটন কেন্দ্র
33 মিনিটে পড়া যাবে
6
বাংলাদেশের সেরা ৫০ টি দর্শনীয় স্থান বা পর্যটন কেন্দ্র - Goarif
বাংলাদেশের সেরা ৫০ টি দর্শনীয় স্থান বা পর্যটন কেন্দ্র সম্পর্কে জানাব। ভ্রমণের জন্য এই স্থান গুলো খুবই চমৎকার। বাংলাদেশে ভ্রমণের জন্য রয়েছে অনেক সুন্দর সুন্দর স্থান।
পরিচ্ছেদসমূহ
বাংলাদেশের সেরা ৫০ টি দর্শনীয় স্থান বা পর্যটন কেন্দ্র
কক্সবাজার
কিভাবে যাবেন
ভাড়া
সুন্দরবন
কিভাবে যাবেন
ভাড়া
রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ
কিভাবে যাবেন
ভাড়া
জাফলং
কিভাবে যাবেন
ভাড়া
সাজেক ভ্যালি
সেন্টমার্টিন
শ্রীমঙ্গল
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা নির্দেশনাবলী
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
মইন ঘাট (মিনি কক্সবাজার)
খৈয়াছড়া
তাজহাট জমিদার বাড়ি
ফয়েজ লেক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক
বান্দরবান
ষাট গম্বুজ মসজিদ
সোনারগাঁও
শালবন বৌদ্ধ বিহার
জাতীয় স্মৃতিসৌধ
বাংলার তাজমহল
মাধবকুন্ড জলপ্রপাত
মাধবপুর লেক
সীতাকুন্ড
খানজাহান আলীর মাজার
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘর
চাঁদপুর মোহনা
আহসান মঞ্জিল
মহাস্থানগড়
বিছানাকান্দি
পানাম নগর
মহেরা জমিদার বাড়ি
রাতারগুল সিলেট
খাগড়াছড়ি
নাটোর রাজবাড়ী
মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি
মধুটিলা ইকোপার্ক
তাজিংডং
লালবাগ কেল্লা
পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার
মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ
রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি
নুহাশ পল্লী
ছেঁড়া দ্বীপ
টেকনাফ
চিম্বুক পাহাড়
স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পট
ভিন্ন জগত রংপুর
তেতুলিয়া জিরো পয়েন্ট
আরও: মানা বে ওয়াটার পার্ক, মুন্সীগঞ্জ
সুজলা সুফলা নদীমাতৃক এই সুন্দর বাংলাদেশে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান বা পর্যটন কেন্দ্র। আমি ১০০০ টি দর্শনীয় স্থান বা পর্যটন কেন্দ্র থেকে বাছাই করে আপনাদের সামনে সেরা ৫০ টি স্থান সম্পর্কে তুলে ধরলাম।
চলুন শুরু করা যাক…
আরও: সুন্দরবন ট্যুর প্যাকেজ
বাংলাদেশের সেরা ৫০ টি দর্শনীয় স্থান বা পর্যটন কেন্দ্র - Wilep
বাংলাদেশের সেরা ৫০ টি দর্শনীয় স্থান বা পর্যটন কেন্দ্র
সৌন্দর্যময় এ বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় রয়েছে অনেক দর্শনীয় স্থান। নিচে ৫০ টি দর্শনীয় স্থান বা পর্যটন কেন্দ্র সম্পর্কে তুলেধরা হল।
এবার আমারা বাংলাদেশের সেরা ৫০ টি দর্শনীয় স্থান বা পর্যটন কেন্দ্র সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু তথ্য জানব। চলুন শুরু করা যাক।
ভ্রমণ টিপস গুলো পড়ুন: ভ্রমণ টিপস
কক্সবাজার
সেরা ৫০ টি দর্শনীয় স্থান বা পর্যটন কেন্দ্র ভিতরে প্রথম স্থানে রয়েছে কক্সবাজার। নীল জলরাশি আর শোঁ শোঁ গর্জনের মনোমুগ্ধকর সমুদ্র সৈকতের নাম কক্সবাজার। অপরূপ সুন্দর বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত এই কক্সবাজার। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসে।
কক্সবাজার চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে এর অবস্থান। কক্সবাজার ১৫৫ কিলোমিটার (৯৬ মাইল) পর্যন্ত বিস্তৃত।
কক্সবাজারের পাশাপাশি এখানে ভ্রমণের জন্য আরও রয়েছেঃ লাবণী পয়েন্ট, হিমছড়ি, ইনানী বিচ।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ৪১৪ কি.মি. । ঢাকা থেকে কক্সবাজার ৩ উপায়ে যাওয়া যায়ঃ সড়কপথ, রেলপথ, আকাশপথ।
বাসঃ ঢাকা থেকে বেশ অনেক গুলো বাস কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। উল্লেখযোগ্য বাস গুলো হলঃ গ্রিন লাইন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, সৌদিয়া, এস আলম মার্সিডিজ বেঞ্জ, এস.আলম পরিবহন, সোহাগ পরিবহন।
ট্রেনঃ সোনার বাংলা, সুবর্ন এক্সপ্রেস, তূর্ণা-নিশীথা, মহানগর প্রভাতী/গোধূলী ইত্যাদি ট্রেন যাওয়াআসা করে থাকে।
আকাশপথঃ বিমান বাংলাদেশ, নভোএয়ার, ইউএস বাংলা সহ আরও বেশকিছু বিমান ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে।
ভাড়া
বাসঃ টিকিট মূল্য নন এসি- ৭৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা। এসি- ১০০০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত প্রতি সিটের ভাড়া হয়ে থাকে।
ট্রেনঃ ট্রেনের টিকিট মূল্য ৪০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত।
আকাশপথঃ ২০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত।
ভ্রমণ টিপস – কাছে ভ্রমণের জন্য ব্যাকপ্যাক এ কি কি নিবেন পড়েছেন কি?
সুন্দরবন
সেরা ৫০টি দর্শনীয় স্থান বা পর্যটন কেন্দ্র ভিতরে প্রথম স্থানে রয়েছে সুন্দরবন।বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী অঞ্চলে সুন্দরবন অবস্থিত। সুন্দরবন খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলা জুড়ে বিস্তৃত।
সুন্দরবন বিশ্বের সবচেয়ে বড় অখণ্ড বনভূমি! সুন্দরবন এর আয়তন প্রায় ১,৩৯,৫০০ হেক্টর (৩,৪৫,০০০ একর)। সুন্দরবনে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক বেড়াতে আসেন।
সুন্দরবনে সুন্দরী গাছ ছাড়াও রয়েছে গরান, বাইন গেওয়া ইত্যাদি। আর প্রাণীর ভিতর রয়েছে বাঘ, সিংহ, হরিণ, হাতি, কুমির ইত্যাদি।
সুন্দরবন এ দেখার মত আরও রয়েছেঃ জামতলা সৈকত, মান্দার বাড়িয়া সৈকত, হিরন পয়েন্ট, দুবলার চর।
আরও: সুন্দরবন ট্যুর প্যাকেজ
কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সুন্দবন যেতে হলে প্রথমে আপনাকে খুলনা যেতে হবে। খুলনায় যাওয়ার জন্য বাস, ট্রেন এবং লঞ্চ ব্যবস্থা রয়েছে। এই তিন উপায়ে আপনি যেতে পারেন।
বাসঃ হানিফ, সোহাগ ও ঈগল পরিবহনের বাস ভোর ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত নিয়মিত খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে থাকে। খুলনা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে মংলায় গিয়ে সেখান থেকে ছোট লঞ্চ বা ট্রলারে করে সুন্দরবন যেতে হবে।
ট্রেনঃ সুবর্ণ এক্সপ্রেস, কপোতাক্ষ, সাগরদাঁড়ি, চিত্রা এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস।
ভাড়া
বাসঃ ঢাকা থেকে খুলনা বাস ভাড়া নন এসি ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা। এসি – ৫৫০ থেকে ১৩০০ টাকা।
ট্রেনঃ ট্রেনের ভাড়া ২৫০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত।
আরও: ট্যুর প্যাকেজ
রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ
ঢাকা থেকে ৩০৮ কিলোমিটার দূরে রাঙ্গামাটি জেলা অবস্থিত। রাঙ্গামাটি জেলায় ভ্রমণের প্রধান আকর্ষণ হল রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ! ঝুলন্ত ব্রিজ টি কাপ্তাই হ্রদের উপর নির্মিত। এটি প্রায় ৩৩৫ ফুট লম্বা।
রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ এর একটি বিশেষ নাম রয়েছে সেটি হলঃ সিম্বল অফ রাঙ্গামাটি। রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ টি বানানোর কারন হচ্ছেঃ এই ব্রিজটি কাপ্তাই লেকের বিচ্ছিন্ন দুই পাড়ের পাহাড়ের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে দিয়েছে। এই ব্রিজ দিয়ে একপাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে অনায়াসেই যাতায়েত করা যায়।
রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ দেখতে এসে আপনি আরও যা দেখতে পাবেন তা হলঃ শেখ রাসেল এভিয়ারী এন্ড ইকো পার্ক, শুভলং ঝর্ণা, কাপ্তাই লেক, উপজাতীয় জাদুঘর, ঝুম রেস্তোরা, টুকটুক ইকো ভিলেজ, চিৎমরম গ্রাম ও টাওয়ার, যমচুক…
রাইক্ষ্যং পুকুর, নির্বাণপুর বন ভাবনা কেন্দ্র, ফুরমোন পাহাড়, রাজস্থলী ঝুলন্ত সেতু, রাজবন বিহার, ঐতিহ্যবাহী চাকমা রাজবাড়ি, পেদা টিং টিং, নৌ-বাহিনীর পিকনিক স্পট, ন-কাবা ছড়া ঝর্না, আর্যপুর ধর্মোজ্জ্বল বনবিহার, ডলুছড়ি জেতবন বিহার, বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র ও কাট্টলী বিল ইত্যাদি।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ দেখতে আপনি বাসে, ট্রেনে ও আকাশপথে যেতে পারেন। বাস আপনি সরাসরি রাঙ্গামাটি যেতে পারবেন কিন্তু ট্রেনে এবং আকাশপথে আপনাকে প্রথমে চট্টগ্রাম এবং সেখান থেকে রাঙ্গামাটি যেতে হবে।
বাসঃ ঢাকা সায়দাবাদ থেকে রাঙ্গামাটিগামী শ্যামলী, এস আলম পরিবহন, হানিফ পরিবহন, বিআরটিসি পরিবহনের বাস গিয়ে থাকে।
ভাড়া
বাসঃ বাস ভাড়া ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা।
আরও: ভ্রমণ সঙ্গী কীভাবে নির্বাচন করবেন
জাফলং
জাফলং ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। এটা পর্যটকদের জন্য বিখ্যাত জায়গা। বাংলাদেশের সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় এই জাফলং অবস্থিত। ঢাকা থেকে জাফলং এর দূরত্ব প্রায় ২৯৭ কিলোমিটার আর সিলেট শহর থেকে ৬২ কিলোমিটার।
জাফলং এ রয়েছে ভারতের ডাউকি বন্দরের ঝুলন্ত সেতু। সাথে পাহাড়ি ঝর্না, পাথর ও ঝর্ণার সচ্চ পানি।
জাফলং এ দেখার মত আরও রয়েছেঃ লালাখাল, তামাবিল, জৈন্তাপুর, সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে বাসে, ট্রেনে এবং আকাশপথে জাফলং যেতে পারেন। তবে, যেভাবেই যান না কেনও আপনাকে প্রথমে সিলেট যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে জাফলং।
বাসঃ গ্রীন লাইন, সৌদিয়া, এস আলম, শ্যামলী, এনা, হানিফ ও ইউনিক পরিবহন ঢাকার ফকিরাপুল, গাবতলী, সায়েদাবাদ, মহাখালি ও আবদুল্লাপুর বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায়।
ট্রেনঃ উপবন, জয়ন্তিকা, পারাবত অথবা কালনী এক্সপ্রেস সিলেটের উদ্দেশ্যে কমলাপুর বা বিমান বন্দর রেলওয়ে স্টেশান হতে ছেড়ে যায়।
আকাশপথেঃ বিমান বাংলাদেশ, রিজেন্ট এয়ার, ইউনাইটেড এয়ার, নভো এয়ার এবং ইউএস বাংলা এয়ারের বিমান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায়।
ভাড়া
বাসঃ এসি – ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। নন-এসি – ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা।
ট্রেনঃ ভাড়া ২৮০ থেকে ১২০০ টাকা।
আকাশপথেঃ বিমানের ভাড়া ৩০০০ থেকে ১০০০০ টাকা পর্যন্ত।
Comments
Post a Comment