রুপসি বাংলা, বাংলাদেশের ঋতুবৈচিত্র

 

My creation 



সুজলা-সুফলা, শস্য- শ্যামলা বাংলাদেশের রুপময় সৌন্দর্য ও ঐশ্বর্য চিরকালের গর্বের বিষয়। একদিকে এই সৌন্দর্যের প্রতি মুগ্ধতা এবং অন্যদিকে তার ঐশ্বর্যের প্রতি লালসা বহু প্রাচীনকাল থেকে এই দেশটি বহু বিদেশিকে আকর্ষণ করেছে। বাংলাদেশর ষড়ঋতু যেন মনকে ছুঁয়ে যায়। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঋতু বৈচিত্রে মুগ্ধ হয়ে লিখেছিলেন – 


ওমা, ফাগুনে তাের আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,

মরি হায়, হায়রে- ওমা, অঘ্রানে তাের ভরা ক্ষেতে কী দেখেছি মধুর হাসি।


ঋতুরঙ্গময়ী রূপসি বাংলা। বঙ্গ-প্রকৃতির ঋতুরঙ্গে তার কী ছন্দোময়, সংগীতময় অনুপম-রূপ বদল! ঋতু পরিবর্তনের বর্ণ বিচিত্র ধারাপথে নিয়ত উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে তার অন্তহীন রূপের খেলা, রঙের খেলা, সুরের খেলা। অনুপম বৈচিত্রময় ঋতুরঙ্গোর এমন উজ্জ্বল প্রকাশ বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোথাও দেখা যায় না। তাই রূপমুগ্ধ পুলকিত কবি তার আবেগ-স্নিগ্ধ উচ্চারণে বাংলাকে বলেছেন- ‘রূপসি বাংলা’। ছয় ঋতুর দেশ এই রূপসি বাংলাদেশ। ছয় ঋতুর ছয় রূপ। প্রতিটি ঋতু এখানে আসে তার স্বাতন্ত্রের অনুপম রূপসজ্জায়। রূপের ঐশ্বর্যে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে বাংলার পথ-প্রান্তর। এরপর বেজে ওঠে তার অশ্রুবিধুর বিদায়ের করুণ রাগিণী। সে তার রূপ বিস্তারে অন্তিম স্মৃতিচিহ্নটুকু নিঃশেষে মুছে নিয়ে চলে যায় কালের অনন্ত যাত্রাপথে। এক ঋতু যায়, আসে অন্য ঋতু।

Comments